আশিকুর রহমান : রাজবাড়ী সরকারী আর্দশ মহিলা কলেজের ছাত্রী মর্জিনা বেগম ওরফে সোনালীর (২০) হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত স্বামী পুলিশ সদস্য মামুনুর রশীদ ওরফে মামুন মোল্লার (২৪) ফাঁসির দাবিতে ১৩জুলাই শনিবার সকালে রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সামনের প্রধান সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, গত ১৪/২/২০১২ তারিখে কালুখালী উপজেলার ঝাউগ্রামের মৃত হেলাল মোল্লার ছেলে মোঃ মামুনুর রশীদ ওরফে মামুন মোল্লার (২৪) সাথে মর্জিনার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মামুন মোল্লাকে ৫লক্ষ টাকা যৌতুক দিতে হয়। এ টাকা জোগাড় করতে গিয়ে মর্জিনার পিতা বিশাল ঋণের বোঝা মাথায় নেন। তার দেওয়া যৌতুকের টাকা দিয়েই মামুন ঘুষ দিয়ে পুলিশ কনষ্টেবল পদে চাকুরী পায়। সে ঢাকা ডিএমপিতে কর্মরত ছিল।
গত ১ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে গোয়ালন্দ-খুলনাগামী নকশীকাঁথা ২৬ ডাউন মেইল ট্রেনের ৫০০২নং বগির একটি কেবিন রিজার্ভ ভাড়া করে মামুন মোল্লা তার স্ত্রী মর্জিনাকে মোবাইলে সেখানে ডেকে নিয়ে যায়। কেবিনের মধ্যে মামুন জন্ম নিরোধক ট্যাবলেটের কথা বলে ২টি ঘুমের ট্যাবলেট মর্জিনাকে খাওয়ায়ে কেবিনের দরজা জানালা বন্ধ করে দেয়। এরপর মামুন স্ত্রী মর্জিনার সাথে যৌন সঙ্গম করে। এক পর্যায়ে মর্জিনা ঘুমিয়ে গেলে মামুন হাতে হ্যান্ডগ্লোভস পড়ে নাইলনের রশি দিয়ে মর্জিনাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। ট্রেনটি বিকেল পৌনে ৩টার দিকে পাংশা ষ্টেশনে পৌছালে বগির মধ্যে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় মর্জিনার মৃত দেহ উদ্ধার করে জিআরপি থানার পুলিশ।
মামুন মোল্লা কালুখালী উপজেলার ঝাউগ্রামের মৃত হেলাল মোল্লার ছেলে। সে ঢাকা ডিএমপিতে কর্মরত ছিল। নিহত কলেজ ছাত্রী মর্জিনা রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের গ্রঙ্গাপ্রসাদপুর গ্রামের দিন মজুর মোঃ শুকুর আলী ওরফে টোকনের মেয়ে।
আপডেট : রবিবার ১৩ জুলাই,২০১৪/ ০৩:২৪ পিএম/ আশিক