ভারতের বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বন্যা পরিস্থিতির কারণে ফারাক্কা ব্যারেজের সব গেট খুলে দিয়েছে দেশটি। তবে এখন পর্যন্ত এর প্রভাব পড়েনি রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত গত ৯ ঘণ্টায় জেলার তিনটি গেজস্টেশন পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বাড়েনি; বরং কমেছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পওর বিভাগ) উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান জানান, গত ৯ ঘণ্টায় সদরের মহেন্দ্রপুর গেজস্টেশন পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার ও গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া গেজস্টেশন পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার পদ্মা নদীর পানি কমেছে। এছাড়া পাংশার সেনগ্রাম গেজস্টেশন পয়েন্টেও পানি বাড়েনি।
তিনি বলেন, মহেন্দ্রপুর গেজস্টেশন পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার। সেখনে পানি ৮ দশমিক ০৩ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। দৌলতদিয়া গেজস্টেশন পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ৮ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার। সেখানে পানি ৬ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। আর সেনগ্রাম গেজস্টেশন পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৫২ সেন্টিমিটার। সেখানে পানি ৯ দশমিক ০৭ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে।
অর্থাৎ জেলার তিনটি গেজস্টেশন পয়েন্টেই পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মো. হাফিজুর রহমান আরও বলেন, ফারাক্কা ব্যারেজের পানি রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে আসতে ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগতে পারে। তবে পানি খুব বেশি বাড়ার আশঙ্কা নেই।
পানি বাড়লে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট, মিজানপুর, খানগঞ্জ, কালুখালীর রতনদিয়া, হরিণবাড়িয়া, পাংশার বাহাদুরপুর, হাবাসপুর ও গোয়ালন্দের দেবগ্রাম এবং দৌলতদিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে পারে। তবে পানি রাজবাড়ী শহর রক্ষার বেড়িবাঁধ পাড় হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। কারণ পানি বেড়িবাঁধ পাড় হতে গেলে নদীতে অন্তত ১৭ ফিট পানি বাড়তে হবে। এতো পরিমাণ পানি বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। তাই জেলাবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন পাউবোর ওই কর্মকর্তা।