আরও একবার বাংলাদেশকে ডুবিয়েছে টপ ও মিডল অর্ডারের ধারাবাহিক ব্যর্থতা – ২৩০ রানের তুলনামূলক সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়েও একটা পর্যায়ে ৭০ রানে তাদের ৬ উইকেট পড়ে যায়।
সপ্তম উইকেট পার্টনারশিপে মাহমুদুল্লাহ ও শেখ মেহেদি সামান্য কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও তা কখনোই জেতার জন্য যথেষ্ঠ ছিল না। ওই জুটিতে ওঠে ৩৮ রান। নবম উইকেটে মুস্তাফিজুর আর তাসকিনও যোগ করেন ২৯ রান।
এর আগে দুই ওপেনার লিটন দাস (৩) ও তানজীদ হাসান (১৫), কিংবা নাজমুল হাসান শান্ত (৯) ও মুশফিকুর রহিম (১) সবাই ব্যর্থ হয়েছেন।
তিন নম্বরে নামা মেহেদি হাসান মিরাজ শুধু ৪০ বলে ৩৫ রানের একটি ইনিংস খেলতে পেরেছিলেন।
ঝটিকা সফরে ঢাকায় গিয়ে ‘স্পেশাল’ ব্যাটিং প্র্যাকটিস করে আসা অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ব্যাটার হিসেবে এদিনও ব্যর্থ – ১৪ বল খেলে তিনি আউট হয়েছেন মাত্র ৫ রান করে।
ডাচ বোলারদের মধ্যে পল ভ্যান মিকেরেন ৪টি ও বাস ডি লিড ২টি উইকেট পেয়েছেন।
এছাড়া আরিয়ান দত্ত, কলিন অ্যাকারম্যান ও লোগান ভ্যান বিক পেয়েছেন ১টি করে উইকেট।
এর আগে শনিবার দুপুরে নেদারল্যান্ডস টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেয়, কিন্তু মাত্র ৪ রানের মধ্যে তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম দুই ডাচ ওপেনারকে পরপর তুলে নিলে নেদারল্যান্ডস শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে।
পরে তিন নম্বরে নামা ওয়েসলি বারেসি (৪১ বলে ৪১) আর পাঁচ নম্বরে নামা অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস (৮৯ বলে ৬৮) দলের রানকে বেশ একটা ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছে দেন।
শেখ মেহেদির শেষ ওভারে লোগান ভ্যান বিক দুটো চার ও একটা ছয়-সহ মোট ১৭ রান নিয়ে নেদারল্যান্ডসের স্কোর সোয়া দু’শো পার করে দেন।
বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজ ও মুস্তাফিজুর রহমান সবাই দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান পেয়েছেন একটি উইকেট।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের পিচ বেশ স্পোর্টিং উইকেট বলেই মনে হয়েছে – যেখানে ২৩০ রান তোলা বাংলাদেশের জন্য খুব কঠিন হওয়ার কথা ছিল না।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপকে এই টুর্নামেন্টেই একবার ঘায়েল করার পর নেদারল্যান্ডস এবার বাংলাদেশকেও ধরাশায়ী করে হারাল!