কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত রাজবাড়ীর আব্দুল গণির কুলখানির আয়োজন করেছে জেলা বিএনপি।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) জুমার নামাজের পর সদর উপজেলার খানখানাপুর নতুন বাজার এলাকায় আব্দুল গণির নিজ বাড়ির পাশে মাঠে এ কুলখানি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আসলাম মিয়া, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, নিহত আব্দুল গণির বাবা আব্দুল মজিদ শেখ ও ছেলে আলামিন শেখ বক্তব্য দেন।
বক্তব্য শেষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে আব্দুল গণির রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন রাজবাড়ীর ভান্ডারিয়া সিদ্দীয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল এরশাদ মোহাম্মদ সিরাজুম্মুনির।
এ সময় জেলা বিএনপি এবং দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা, নিহত আব্দুল গণির পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয় মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি অ্যাড. আসলাম মিয়া বলেন, ঢাকায় কোটা আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হয় আমার এলাকার আব্দুল গণি শেখ। তার মৃত্যুতে তার পরিবারে অসহায়ত্ব নেমে আসে। আমরা জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের আশ্বাস দিয়েছি, আমরা তাদের পাশে রয়েছি। আজ জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তার কুলখানির আয়োজন করেছি। এ ছাড়াও তার ছেলে ও মেয়ের পড়ালেখার খরচ আমরা বহন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
স্বজনরা জানান, রাজধানীর গুলশানে-২ সিক্সসিজন নামক আবাসিক হোটেলের কারিগরি বিভাগে কাজ করতেন আবদুল গণি। গত ১৯ জুলাই সকালে ঢাকার উত্তর বাড্ডার গুপীপাড়ার বাসা থেকে কর্মস্থলের দিকে হেঁটে রওনা হন গণি। পথে শাহজাদপুর বাঁশতলা এলাকায় কোটা আন্দোলন ঘিরে চলমান সংঘাতের মধ্যে পড়েন তিনি। সংঘর্ষ চলাকালে তার মাথার ডান পাশে গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ হয়ে দীর্ঘক্ষণ মরদেহ রাস্তায় পড়ে থাকেন গণি। পরে স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।