রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা গলাকাটা মরদেহের পরিচয় পেয়েছে পুলিশ। তার নাম আলমগীর কবির। এনআইডি কার্ডের জন্ম তারিখ অনুযায়ী তার বয়স ৫২ বছর। তিনি পেশায় বিকাশের এজেন্ট ছিলেন। ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ধুতরাহাটি গ্রামের মৃত আবুল কালাম মোল্লার ছেলে তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার (৩১ আগস্ট) ভোরে কয়েকজন পথচারী গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের তেনাপচা (মওনা) এলাকায় রাস্তার পাশে জঙ্গলের মধ্যে জবাই করা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে না পেরে তারা গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে সকাল ৮টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ অজ্ঞাত ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে পরিচয় শনাক্তের জন্য সিআইডিকে খবর দিলে তারা ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করে। ওই ব্যক্তির পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।
তিনি বলেন, হত্যার শিকার ব্যক্তি বিকাশের এজেন্ট ছিলেন। তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে এখনি বিস্তারিত বলা যাচ্ছেনা। তার পরিবারের সদস্যরা মামলা করবেন।আশাকরছি খুব দ্রুতই হত্যার কারন উদঘাটন ও আসামি গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
নিহত আলমগীর কবিরের চাচা মো. শাজাহান মুন্সি বলেন, আলমগীর তাদের এলাকায় রসূলপুর বাজারে বিকাশ এজেন্টের দোকান করতো। তার ১০ বছর ও এক বছর বয়সি দুই মেয়ে এবং ৩ বছর বয়সি এক ছেলে রয়েছে। রসূলপুর এলাকায় ঘরজামাই থাকতো গোয়ালন্দের হারুন নামে এক ব্যক্তি। হারুন আলমগীরকে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তাব দেয় এবং তার কাছ থেকে বিদেশে পাঠানোর জন্য কিছু টাকাও নেয়। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সকাল ১০ টার দিকে আলমগীর বিদেশের ব্যাপারে টাকা-পয়সা জমা দেওয়া ও মেডিকেল করার জন্য হারুনের সাথে বের হয়। এরপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। পরে শনিবার সকাল ১১ টার দিকে আমরা খবর পাই যে, গোয়ালন্দে আলমগীরের লাশ পাওয়া গেছে।
আলমগীরের চাচাতো ভাই রাকিবুল হাসান বলেন, আমার ভাই অনেক টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। এছাড়া তার মোবাইলে বিকাশেও অনেক টাকা ছিল। ঠিক কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা আমরা এখনই বলতে পারছিনা। তবে তাকে হত্যা করে টাকা-পয়সা ও চারটি মোবাইল নিয়ে গেছে।