রাজবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নির্দেশদাতা ও হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে শহরের পান্না চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা।
মিছিলটি রাজবাড়ী প্রেসক্লাব এলাকা ঘুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নির্দেশদাতা ও হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান ও পুলিশ সুপার মোছা. শামিমা পারভীন বরাবর স্মারকলিপি দেয় শিক্ষার্থীরা।
এ সময় রাজীব মোল্লা, মেহেরাব, রিয়াজ, মিরাজ, অভি, আলতাফ, মিরাজ, রূপক, হৃদ, সানজিদা, সশি, সুক্তি, রুবাইয়াসহ বিভিন্ন স্কুল কলেজের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজবাড়ীতে সাবেক সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, তথাকথিত যুদ্ধ অপরাধী ট্রাইব্যুনালের সমন্বয়ক শেখ হাসিনার দোসর শামসু জজ এবং রাজবাড়ী সন্ত্রাসের গড ফাদার কাজী ইরাদত আলীর প্রত্যক্ষ নির্দেশে এজাহারভুক্ত চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা নৃশংস আক্রমণ চালায়। এতে ন্যায্য দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা নির্মমভাবে আহত ও গুলিবিদ্ধ হয়। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় ওই সকল চিহ্নিত আসামিরা এখনও প্রকাশ্যে শহরের বিভিন্ন অলিতে-গলিতে দাপটের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করছে এবং বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী-জনতাকে হুমকি-ধমকি দিয়েছে। এতে আপামর ছাত্র-জনতার মধ্যে দারুণ ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এমতাবস্থায় এই বাস্তবতা অনুধাবনপূর্বক অনতিবিলম্বে চিহ্নিত সকল আসামিদের গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জোর দাবি করছি।
উল্লেখ্য, রাজবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় গত ৩০ আগস্ট রাজবাড়ী সদর থানায় সাবেক সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী ও তার ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীসহ ১৭০ জনের নামে মামলা করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়। মামলাটি করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী রাজিব মোল্লা।