রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য খোন্দকার মশিউল আজম চুন্নু (৫৫) সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা শহরের চৌরাস্তার মোড়ে এ সংঘর্ষের পর রাতেই তাদের গ্রেফতার করা হয়। তবে গ্রেফতার এড়াতে যৌথ বাহিনীর কাছে ভিন্ন নামে পরিচয় দেন খোন্দকার মশিউল আজম চুন্নু।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার ভূঁইয়াকে সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার মশিউল আজম চুন্নুর ছেলেসহ তার লোকজন লাঞ্ছিত করে। বিষয়টি জানাজানি হলে দুই গ্রুপের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বালিয়াকান্দি উপজেলা শহরের চৌরাস্তার মোড়ে লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে দুই গ্রুপ মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুই গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়।
এ সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে রাজবাড়ী জেলা শহরের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে স্থাপিত আর্মি ক্যাম্প থেকে ক্যাপ্টেন মো. এনামুল হাসানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল ও বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে যৌথবাহিনীর অভিযানে বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার মশিউল আজম চুন্নুসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
ক্যাপ্টেন মো. এনামুল হাসান জানান, খোন্দকার মশিউল আজম চুন্নু সংঘর্ষে আহত হয়ে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে গেলে তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। কিন্তু তিনি গ্রেফতার এড়াতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করে নিজ বাড়ির পাশের একটি বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করেন। খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে যৌথ বাহিনী তাকে গ্রেফতার করে। এ সময় তিনি নিজেকে ভিন্ন নামে পরিচয় দেন। তবে যৌথ বাহিনী তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার ভূঁইয়া বাদী হয়ে খোন্দকার মশিউল আজম চুন্নুসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৭০-৮০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতার খোন্দকার মশিউল আজম চুন্নু এবং তার দুই সহযোগী রুবেল হোসেন ও কামরুজ্জামানকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।