বয়সসীমা শিথিল করে শুন্য পদের বিপরীতে চাকরি স্থায়ীকরণ ও বৈষম্য দূর করার দাবিতে রাজবাড়ীতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিতে (ওজোপাডিকো) কর্মরত পিচরেট শ্রমিক ও লাইন সাহায্যকারী (গ্যাটিস) শ্রমিকরা।
বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে রাজবাড়ী ওজোপাডিকো অফিস চত্বরে পিচরেট শ্রমিক কল্যাণ সমিতি জেলা শাখা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি সভার আয়োজন করে।
সভায় পিচরেট শ্রমিক কল্যাণ সমিতি ফরিদপুর সার্কেলের নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মবিরতি সভায় পিচরেট শ্রমিক কল্যাণ সমিতি ফরিদপুর সার্কেলের প্রধান উপদেষ্টা মো. শুকুর আলী শরিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ কুমার সাহা, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বাশার শেখ বাদশা, পিচরেট শ্রমিক কল্যাণ সমিতি রাজবাড়ী জেলা শাখার সদস্য ওমর সানি জলিল, ফারুক হোসেন তোতা ও আমির সোহেল বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, আমরা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড তথা বর্তমানে ওজোপাডিকোতে পিচরেট শ্রমিক হিসাবে বিগত ২০ থেকে ২৫ বছর যাবৎ কর্মরত থেকে মিটার রিডিং গ্রহণ, বিল প্রস্তুত, বিল বিতরণ ও ক্রেডিট পোস্টিং বকেয়াধারী গ্রাহকের আঙিনা চিহ্নিত করে বকেয়া আদায় এবং ননভেন্ডিংয়ের কাজ করা সহ অন্যান্য কাজ সততার সাথে পালন করে আসছি। নির্ধারিত কাজের বিপরীতে আমরা ক্ষেত্র বিশেষ জনপ্রতি ৩ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসিক মুজুরি পাই। এই মজুরিতে বর্তমানে জীবনযাপন করা অসম্ভব ।
তারা বলেন, ওজোপাডিকোতে গ্রাহক সংখ্যা অনুপাতে বিভিন্ন পদে চরম জনবলের অভাব রয়েছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক লোকবল না থাকায় রাজস্ব আদায়সহ সকল কর্মকান্ডের সাথে পিচরেট শ্রমিকরা সম্পৃক্ত থেকে কার্যক্রম চলমান রাখায় কোম্পানীর সিস্টেম লস ও রাজস্ব আদায় সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে এবং কোম্পানী লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ২১টি জেলায় প্রায় ৫ শতাধিক শ্রমিক দীর্ঘদিন এ প্রতিষ্ঠানে অস্থায়ীভাবে কাজ করার কারণে তাদের অনেকেরই সরকারি চাকরির বয়সসীমা শেষ হয়ে গিয়েছে। যার ফলশ্রতিতে অন্য কোনো সংস্থায় কাজের সুযোগ নেই।
তাই শ্রমিকদের বয়সসীমা শিথিল করে শূন্য পদের বিপরীতে চাকরি স্থায়ীকরণ করে বৈষম্য দূর করার দাবি জানান কর্মচারীরা। দাবি না মানা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করারও ঘোষণা দেন তারা।
এর আগে ওজোপাডিকোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন শ্রমিকরা।
এদিকে শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে বিদ্যুৎ অফিসের গ্রাহকরা।