রাজবাড়ী সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে চাঁদা না দেওয়ায় প্রবাসীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, ছেলেকে কুপিয়ে জখম এবং নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাটের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
গত ৬ অক্টোবর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইনের ৩ ও ৪ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন প্রবাসী মো. জুয়েল বিশ্বাসের স্ত্রী মোছা. লাইলী বেগম (৪৮)।
মামলার আসামিরা হলেন- সুলতানপুর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের মৃত আয়নাল বিশ্বাসের ছেলে মো. লিটন বিশ্বাস (৪০), মো. গৈজদ্দিন বিশ্বাস (৪৮), জয়নাল বিশ্বাসের ছেলে নজরুল বিশ্বাস (৪৫), জহো বিশ্বাস (৪৮), জহো বিশ্বাসের ছেলে ছাব্বির বিশ্বাস (২১) ও তাহের ফকিরের ছেলে পলাশ ফকির (২৬)।
মামলায় প্রবাসীর স্ত্রী লাইলী বেগম অভিযোগ করেন, তার স্বামী দীর্ঘদিন যাবৎ সৌদি আরবে থাকার কারণে আসামিরা বিভিন্ন সময় তার দুই ছেলে রাকিব বিশ্বাস ও শামীম বিশ্বাসের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তারা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এরই জের ধরে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে আসামিরা বাঁশের লাঠি, লোহার রড, চাইনিজ কুড়াল, রাম দা, হকিস্টিক ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাদের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে বিল্ডিং ঘরের ৮ টি জানালার থাই গ্লাস ভেঙে ফেলে। এসময় আসামিরা তার ছেলে রাকিবের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে আবারও পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তারা চাঁদা দিতে রাজী না হলে আসামিরা তার ছেলে রাকিবকে বেধরক মারপিট করে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। তার দুই বছর বয়সী নাতি মোমিনুরকেও ছুড়ে ফেলে দেয় আসামিরা।
এরপর আসামিরা তাদের ঘরের ফাইল কেবিনেটের ড্রয়ার থেকে নগদ সাড়ে ৬ লাখ টাকা ও এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন লুট করে নেয়। এছাড়া তার পূত্রবধূ পাপিয়া আক্তারের গলা থেকে এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। এসময় তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা তাদের সবাইকে ঘরের মধ্যে আটকে বাইরে থেকে তালা দিয়ে চলে যায়। পরে প্রতিবেশীরা ঘরের তালা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে তার ছেলে রাকিবকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর তারা ৯৯৯ এ ফোন করলে রাজবাড়ী সদর থানার পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এ ব্যাপারে তিনি থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহণ না করে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেন। যে কারণে তিনি গত ৬ অক্টোবর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইনের ৩ ও ৪ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধান সম্পাদক : এম.এ. খালেদ পাভেল, নির্বাহী সম্পাদক : এম.এ. তারেক,বার্তা সম্পাদক : আশিকুর রহমান, ই-মেইল: rajbarinews24@gmail.com, মোবাইল: ০১৭২১-০৮৯৮২৫, ০১৭১৩-২৩০২৬৭