সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিল এবং রাজবাড়ী স্টেশন হয়ে চলাচলের দাবিতে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ জনতা।
শনিবার (২ নভেম্বর) রাত পৌনে ৮ টার দিকে ভাটিয়াপাড়া থেকে ছেড়ে আসা ফরিদপুরের ভাঙ্গাগামী রাজবাড়ী এক্সপ্রেস ট্রেন রাজবাড়ী রেল স্টেশনে আটকে রেখে বিভিন্ন স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।
প্রায় ৪০ মিনিট ট্রেনটি আটকে রাখার পর বিক্ষোভকারীরা রেললাইন থেকে সরে গেলে রাত ৮টা ২৫ মিনিটের দিকে ট্রেনটি ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
বিক্ষোভকারীরা জানান, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে অন্য রুটে চলাচল করবে এমন খবর জানতে পারেন তারা। ট্রেনের রুট পরিবর্তন হলে রাজবাড়ীসহ আশপাশের কয়েকটি জেলার মানুষ রেলসেবা থেকে বঞ্চিত হবে। যে কারণে সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিল ও রাজবাড়ী স্টেশন হয়ে চলাচলের দাবি তাদের।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা বেনাপোল ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন বন্ধ না করে এ রুটে আরও নতুন ট্রেন দেয়ার দাবি জানান। দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষোভকারী।
রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বলেন, ‘সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের কোনো নির্দেশনা আমাদের কাছে এখনও আসেনি। রেল মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে আমাদের এখনও পর্যন্ত লিখিত বা মৌখিক কোনো কিছু জানানো হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘ভাটিয়াপাড়া থেকে ছেড়ে আসা ভাঙ্গাগামী রাজবাড়ী এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজবাড়ী স্টেশনে রাত পৌনে ৮টায় পৌঁছায়। সেসময় বিক্ষোভকারীরা ট্রেনটি আটকে রেখে বিক্ষোভ করেন। পরে তাদের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাসে ৪০ মিনিট পর রেল লাইন থেকে সরে যান বিক্ষোভকারীরা।’
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের নভেম্বরে রাজবাড়ী ওপর দিয়ে বেনাপোল ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস নামের দুটি ট্রেন চলাচল শুরু করে। এতে অল্প সময়ে ঢাকায় যাওয়া-আসার সুযোগ হয় রাজবাড়ীবাসীর।